হঠাৎ জ্ঞান হারানোর কারণ সাধারণত ক্ষণস্থায়ী, যা হওয়ার প্রধান কারণ মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়া।
মানুষ হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যায় কখনো কখনো এটা মারাত্মক কোন অসুখের কারণে হয়ে থাকে।
এ জন্য হঠাৎ অজ্ঞান হলে তা অবহেলা না করে জরুরিভাবে নিতে হবে যতক্ষণ না এর কারণ জানা যায় এবং তার চিকিৎসা করা না হয়।
তবে বারবার জ্ঞান হারালে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
হঠাৎ জ্ঞান হারানোর কারণ
১। নিউরোকার্ডিওজেনিকের ( রিফ্লেক্স বা ভেসোভেগাল ) সময় রক্ত চাপ কমে যায়। ফলে হঠাৎ ক্ষণিকের জন্য মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ তথা অক্সিজেন কমে যাওয়ায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
এ ধরনের অবস্থা হয়ে থাকে যখন মানুষ
– হঠাৎ রক্ত দেখে ভয় পায়
– গরিলা হঠাৎ সামনে এসে মুখ ভেংচি দেয়
২। অকুপেশনাল- এ ধরনের অবস্থা শরীরের কিছু কাজের সময় হতে পারে। যেমন
– কাশি দেয়ার সময়
– মলত্যাগের সময়
– বেশি ওজন তোলার সময়
৩। স্থান পরিবর্তনে রক্তচাপ কমে যায়। কখনো কেউ বসা অথবা শোয়া অবস্থা থেকে দাঁড়িয়ে যান, তখন হারাতে পারেন।
কারণ এই সময় রক্ত শরীরের ওপরের অংশ থেকে নিচে অর্থাৎ পায়ে চলে আসে কিন্তু স্নায়ুতন্ত্রের প্রভাবে যদি রক্তচাপ ঠিক না থাকে তখন মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে যায়।
– শরীরে অত্যধিক পানিশূন্যতা, ফলে রক্তচাপ কমে যায়
– ডায়াবেটিস রোগের সঠিক চিকিৎসা না করলে বারবার প্রসাব হয়ে বা রক্তে সুগার বেশি থাকলে স্নায়ুর কার্জক্ষমতা হ্রাস পেলে
– কিছু কিছু ওষুধ যেমন- বেটা ব্লকার, মূত্রবৃদ্ধিকারী ওষুধ, অন্যান্য উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেলে
অজ্ঞান হওয়ার আগে লক্ষন
– পা ভারী বোধ
– চোখে ঝাপসা দেখা
– গরম বোধ হওয়া
– মাথা ঘোরা ও মাথা পাতলা বোধ হওয়া
– বমির ভাব
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
জ্ঞান হারানোর আগে যদি বুকে ব্যথা হয়, বুক ধড়ফড় করে, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন হয়
– জ্ঞান হারিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হলে
-আগে প্রসাব বা পায়খানা জয়ে থাকলে
– হার্টের অসুখ থাকলে
যখন আশঙ্কা দেখা দেয় তখন যা করবেন
– দাঁড়ানো অবস্থা থেকে বসে বা শুয়ে পড়ুন
– বসতে পারলে মাথাটা দুই হাঁটুর মাঝখানে রাখুন