মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত মাথার একপাশে হয়, তবে একসঙ্গে দু পাশেও হতে পারে৷
ক্ষেত্র বিশেষে পুরো মাথা জুড়ে কিংবা কপালের এক অংশ বা একটি অক্ষিপটের গভীরে অনুভূত হতে পারে৷
ব্যথাটি পর্যায়ক্রমিক, অর্থাৎ কয়েক দিন বা কয়েক মাসের ব্যবধানে হতে পারে, এবং সাধারণত কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়৷
কেউ কেউ ব্যথা শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে কিছু উপসর্গের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন: যেমন- আচমকা চোখের সামনে রঙিন ঝলক, দৃষ্টি বিভ্রান্তি, কথা বলতে অসুবিধে কিংবা শরীরের একপাশে সাময়িক অবশ বা অনুভূতি শূন্য বোধ করা৷
বেশিরভাগ রোগী মাথার গভীরে এক ধরনের দপদপে ব্যথার অস্তিত্ব অনুভব করেন৷
কপালের মাঝখান থেকে আড়াআড়ি কানের পেছন পর্যন্ত ব্যথাটা ছড়িয়ে পড়তে পারে৷
কিছু কিছু ক্ষেত্রে কপালে না হয়ে শুধু কানের ঠিক ওপরের অংশে ব্যথা হতে পারে৷ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব এবং দৃষ্টি বিভ্রান্তি দেখা দেয়৷
প্রকোপের সময় সাধারণত রোগীকে ফ্যাকাসে দেখায়, ব্যথা চরম হলে বমি হতে পারে এবং রোগী ক্লান্তি অনুভব করেন৷ উজ্জ্বল আলো সহ্য করতে পারেন না বলে কেউ কেউ অন্ধকার ঘরেও শুয়ে থাকতে বাধ্য হন৷
মাইগ্রেন মাথা-ব্যথার কারণ কি ?
মাইগ্রেনের মাথা-ব্যথার কারণ পুরোপুরি জানা যায়নি৷ তবে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে সাময়িক ঘাটতির জন্যে মাইগ্রেনের ব্যথা হয়৷
খাদ্যাভাসের বৈচিত্র্যের কারণে মাইগ্রেনের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে: যেমন চকোলেট, পনির বা মদ্যপান (অ্যালকোহল) মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়৷
মহিলাদের ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়িও একই ভূমিকা রাখতে পারে
এছাড়া অতিরিক্ত কাজের চাপ, বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগের সঙ্গেও মাইগ্রেনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে৷
মাইগ্রেন ব্যথার চিকিৎসা ও উপদেশ
মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত অ্যাসপিরিন বা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সেবনে নিরাময় হয়৷বমি বমি ভাব বা বমি নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে প্রয়োজনে মেটাক্লোরপ্রোমাইড (যেমন: মোটিলন) বা প্রোক্লোরপেরাজিন (যেমন- স্টেমেটিল, ভার্গন) জাতীয় ঔষধ সেবন করা যেতে পারে৷
এছাড়া, মাইগ্রেনের প্রকোপ কমাতে বা ব্যথা উপশমের জন্যে নিম্নোক্ত অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে পারেন:
হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে, জীবনের আনন্দকে উপভোগ করতে হবে৷
অতিরিক্ত টেনশন করা যাবেনা। রাত জাগা যাবেন৷…